![]() |
ড্যান ডব্লিউ মজীনা |
আজ বুধবার বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত এক বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এমন আভাস দেন। তাঁর সৌজন্যে বিজিএমইএর নিজস্ব কার্যালয়ে বৈঠকটির আয়োজন করা হয়।
কী কারণে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি হুমকির মুখে পড়তে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যা বাংলাদেশে খুব একটা আলোড়ন সৃষ্টি না করলেও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো এ বিষয়ে আন্দোলন করছে। মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সদস্য এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন। বিষয়টি বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকারের ক্ষেত্রে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিনুলের নাম উচ্চারণ করে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন সরকার-সমর্থিত সলিডারিটি সেন্টার (এএফএল-সিআইও) বাংলাদেশের জিএপি সুবিধা বাতিলের আবেদন করেছে। যদিও এটি এখনো নির্ধারিত হয়নি। এই সুবিধা বাতিল হলে এ দেশের তৈরি পোশাক খাত সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে বাংলাদেশ শ্রম-বান্ধব নয়—এমন বার্তা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) সম্পাদনে দেরি হওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম-সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পালন থেকে সরে এসেছে—এমনভাবেই বিষয়টিকে দেখছে ওয়াশিংটন।
মজীনা আরও বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে মিলিয়ে বেতন না বাড়ায় এবং আমিনুল ইসলামের মৃত্যু ও অন্যান্য শ্রমিকের হয়রানির ফলে তৈরি পোশাক-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। এই হতাশা বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে রূপ নিতে পারে। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা বাংলাদেশি লেবেলের ব্যাপারে ক্রেতারা অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারেন।
বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক প্রথম আলো, ০৬-০৬-২০১২
If you liked the post then,
Click here to Join us for FREE email updates from "www.apparelmakers.org", so that you do not miss out anything that can be valuable to you and your business!!
0 comments:
Post a Comment